ভৌতরাশির ধারণা-Concept of Physical Quantities-Class IX-Physical Science
ভৌত রাশি
ভৌতবিজ্ঞানে ভৌতরাশির অপরিহার্য ব্যবহার আছে। বরং বলা উচিত ভৌত রাশি ছাড়া ভৌতবিজ্ঞানের কোনো অস্তিত্ব নেই। সাধারণত প্রত্যেকটি ভৌত রাশির একটি নির্দিষ্ট একক আমরা আমাদের সুবিধার্থে ধরে নিয়েছি। SI ও CGS পদ্ধতিতে একক আমরা বর্তমানে বেশি ব্যবহার করি।
আমাদের পরিচিত কয়েকটি ভৌত রাশি হল- ভর, দৈর্ঘ, সময়, ওজন, কার্য, শক্তি ইত্যাদি।
পদার্থবিদ্যায় ভৌতরাশির দুটি প্রকারভেদ আছে। এই প্রকারভেদ গাণিতিক ও ব্যবহারিক ক্ষেত্রে সুবিধার জন্য তৈরী।
এই দু-প্রকার ভৌত রাশি হল- 1) স্কেলার রাশি 2) ভেক্টর রাশি
স্কেলার রাশি
যেসকল ভৌতরাশিকে আমরা যেমন পরিমাপ করতে পারি, অর্থাত যাদের মান আছে কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট দিক নেই তাদের স্কেলার রাশি বলে। এই রাশিগুলিকে সাধারণ বীজগাণিতিক পদ্ধতিতে গণণা করা যায়। এরকম কিছু রাশি হল- দৈর্ঘ্য, ভর, সময়, অতিক্রান্ত দুরত্ব, কার্য, ঘনত্ব, কোণ, ঘনকোণ ইত্যাদি।ভেক্টর রাশি
ভেক্টর রাশি সেই সকল রাশি যাদের মানের সাথে নির্দিষ্ট দিক আছে। এই সকল রাশি গুলিকে লিখিত ভাবে প্রকাশ করতে গেলে দিক নির্দেশ করতে হয়। একটা উদাহরণ দিলে ভালো হয়- একটি বস্তু কণা 20 m/s সমবেগে উত্তর দিকে গতিশীল। এখানে বস্তু কণাটির গতির দিক নির্দিষ্ট করে বলে দেওয়া হল-উত্তর দিকে। যদি একটি ভেক্টর রাশি ধরা হয় a, তাহলে গাণিতিক ভাবে a এর উপরে একটি → চিহ্ন দিতে হয়। → ব্যবহার করা হয় রাশিটি ভেক্টর রাশি বোঝাতে। ভেক্টর রাশির পরম মান বোঝানো হয় |a| এই রূপে। অবশ্যই |a| এর উপরে → চিহ্নটি দিতে হবে। ভেক্টর রাশির কিছু উদাহরণ হল-ওজন, বেগ, দ্রুতি, বল, সরণ, ভরবেগ, তড়িৎ প্রবাহমাত্রা, ত্বরণ, মন্দন ইত্যাদি।বিশেষ উল্লেখ্য যে: ভেক্টর রাশির যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ সাধারন বীজগানিতিক নিয়মানুসারে হয় না। এদের কে ভেক্টর বীজগণিতের সাহায্যে গণণা করতে হয়। ভেক্টর বীজগণিত সম্পর্কে class 9 এ বিশেষ নেই। সুতরাং এই বিষয় আমাদের আলোচ্য নয়।
\\পরবর্তী অধ্যায়ে আমরা এই সকল ভৌতরাশির একক সম্পর্কে আলোচনা করব।\\
Classic , crisp explaination. amazing work champ. Way to go
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
Delete