শ্রীধর আচার্যের সূত্র এবং প্রয়োগ।
শ্রীধর আচার্য্যের সূত্র
দ্বিঘাত সমীকরণের সমাধান করতে এর আগে মধ্যপদ ভেঙে চলরাশির মান বের করা হত। পরবর্তীকালে দেখা গেল যে অনেকক্ষেত্রে মধ্যপদকে সরল গুনিতকে ভাঙা সম্ভব হচ্ছে না বরং সমস্যা হচ্ছে। যেমন- যদি বলি যে x2+x+1 = 0 সমীকরণে x এর মান কী কী? দেখা যাচ্ছে যে x এর সহগ 1 কে সরল গুনিতকে ভেঙে প্রকাশ করা যাচ্ছে না। এখানে এই সমীকরণে যে সূত্রের সাহায্যে x এর মান বের করা যাবে সেটি হল শ্রীধর আচার্য্যের সূত্র।
বলা বাহুল্য যে এই সূত্রের সাহায্যে যেকোনো দ্বিঘাত সমীকরণের চলরাশির মান পাওয়া সম্ভব।
দ্বিঘাত সমীকরণের প্রমাণ বা আন্তর্জাতিক (standard) গঠনটি (form) হল ax2+bx+c = 0 যেখানে a, b, c হল ধ্রূবক এবং a এর মান কখনোই শূণ্য নয় কারণ শূণ্য হলে দ্বিঘাত পদটি থাকত না কাজেই সমীকরণটিকে দ্বিঘাত বলা যেত না।
ভারতীয় গণীতবিদ শ্রীধর আচার্য্য এই প্রমাণ গঠনটিকে বিভিন্ন কয়েকটি পদ্ধতিতে রূপান্তরিত করে x এর মান পেয়ে গিয়েছিলেন বর্তমানে যেটি সর্বক্ষেত্রে, সর্বজনে গ্রাহ্য। নীচে সমীকরণটির সমাধান দেওয়া হল।
উপরের সমীকরণে দ্বিতীয় পর্যায়ে 4a দিয়ে উভয়পক্ষকে গুণ করা হয়েছে। এবং তৃতীয় পর্যায়ে উভয় দিকে b2 পদ নেওয়া হয়েছে। ফলে সর্বশেষে x এর মান পাওয়া গেল দুটি। একটি ধনাত্বক ও অপরটি ঋণাত্বক।
অর্থাত দেখা যাচ্ছে যে সূত্রানুযায়ী a, b, c এর মান বসিয়ে x এর মান পাওয়া যাবে। যদি কোনো সমীকরণে ঋণাত্বক চিহ্ন থাকে যেমন: 3x2-7x+4। এখানে -7x কে +(-7x) হিসেবে ধরে নিতে হবে এবং এখানে b এর মান হল (-7) ।
শ্রীধর আচার্য্যের সূত্র থেকে আমরা x এর দুটো মান পাই। এর একটি যেটি হল α ও অপরটি হল β । নীচের ছবিতে α এবং β এর যোগফল ও গুণফলকে কিভাবে একটি সমীকরণ গঠনে কাজে লাগানো যায় দেখানো হল।
শ্রীধর আচার্য্যের সূত্র থেকে আমরা x এর দুটো মান পাই। এর একটি যেটি হল α ও অপরটি হল β । নীচের ছবিতে α এবং β এর যোগফল ও গুণফলকে কিভাবে একটি সমীকরণ গঠনে কাজে লাগানো যায় দেখানো হল।
![]() |
X এর বীজ দুটি দ্বারা সমীকরণ গঠন |
অর্থাত আমরা যদি x এর দুটো বীজ বের করতে পারি বা যদি প্রশ্নে x এর বীজ দুটি দেওয়া থাকে তবে খুব সহজেই আমরা একটি সমীকরণ গঠন করতে পারব।
তোমরা নিজেরা এই সূত্রকে প্রয়োগ করে সমীকরণ সমাধন করা অভ্যাস কর। পরবর্তিকালে ভবিষ্যতে এই সূত্র যেকোনো কাজে, বিশেষ সহায়ক হবে। কিছু অনুশীলনের জন্য প্রশ্ন দিয়ে দেওয়া হল।
তোমরা নিজেরা এই সূত্রকে প্রয়োগ করে সমীকরণ সমাধন করা অভ্যাস কর। পরবর্তিকালে ভবিষ্যতে এই সূত্র যেকোনো কাজে, বিশেষ সহায়ক হবে। কিছু অনুশীলনের জন্য প্রশ্ন দিয়ে দেওয়া হল।
Comments
Post a Comment
Comment how it made you..